বৃহস্পতিবার এক দিনেই করোনা, আম্পান ও সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১ ৭৭৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এবং আরও ২২ জন এ ভাইরাসে মারা গেছেন বলে আজ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪০৮ জনে দাঁড়াল। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫১১।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৯৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬০২ জন।
সড়ক দুর্ঘটনা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার দুবলাগাড়িতে আজ সকালে রোডবোঝাই ট্রাক উল্টে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী রোডবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার পর দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে আজ ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সৈয়দ শাহ আলম (৫৫), গলাচিপা উপজেলার রাশেদ (৫), ভোলার চরফ্যাশনের মো. সিদ্দিক (৭২), বোরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শাহজাহান মোল্লা (৫৫) ও গুলেনুর বেগম (৭০), ইন্দুরকানীর শাহ আলম (৫০), যশোরের চৌগাছার রাবেয়া (১৩) ও ক্ষ্যান্ত বেগম (৪৫), ঝিনাইদহের নাদিয়া বেগম (৫৫), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সালাহউদ্দিন (১৬) এবং সাতক্ষীরায় একজন মারা গেছেন।
ইউএনবির খুলনা সংবাদদাতা জানান, কয়রা উপজেলার কয়েক শতাধিক বাড়িঘর এবং মাছের ঘের আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে।
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান জানান, দুটি ইউনিয়নের অধীনে ১১টি পয়েন্টে নদীর বাঁধ ভেঙে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলায় কয়েক শতাধিক গাছ উপড়ে পড়ে ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্বল হতে থাকায় বিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, ঝিনাইদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে সকাল ৯টায় রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।