দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার মধ্যে নগরীর কার্যালয়ে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়।
ফরেন-কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) প্রধান অর্থনীতিবিদ এ বিষয়ে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা, অবৈধ অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানিসহ অন্যান্য বিষয়ও আলোচনায় আসে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম এমরুল কায়েস।
হাইকমিশনার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্তভাবে উন্নীত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ঢাকাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বৈঠকে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে কুক বলেন, এর সমাধান হচ্ছে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং অব্যাহত প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তোফাজ্জেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশ-ব্রিটেন সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সম্পর্কটি এখন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও জোরদার করা হবে।’
এছাড়াও, তারা অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারা উভয়েই অবৈধ অভিবাসন রোধে একে অপরকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী