দ্বিপক্ষীয়
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে সম্মত বাংলাদেশ-ব্রিটেন
দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।
বুধবার বিকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার মধ্যে নগরীর কার্যালয়ে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়।
ফরেন-কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) প্রধান অর্থনীতিবিদ এ বিষয়ে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা, অবৈধ অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানিসহ অন্যান্য বিষয়ও আলোচনায় আসে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম এমরুল কায়েস।
হাইকমিশনার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্তভাবে উন্নীত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ঢাকাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বৈঠকে, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে কুক বলেন, এর সমাধান হচ্ছে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং অব্যাহত প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তোফাজ্জেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশ-ব্রিটেন সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সম্পর্কটি এখন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও জোরদার করা হবে।’
এছাড়াও, তারা অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারা উভয়েই অবৈধ অভিবাসন রোধে একে অপরকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
১ বছর আগে
গুজরাটে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কামালের সাক্ষাত, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ভারতের গুজরাটে জি-২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সম্মেলনের ফাঁকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে ২৩-২৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাপানের মন্ত্রী
জি-২০ জোটের সদস্য না হয়েও বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে 'অতিথি দেশের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করবেন আগামী সপ্তাহে
বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক দেশ ভারত। কামাল জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
১ বছর আগে
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ডের গতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ।
উভয় পক্ষ দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কাজে লাগানো হয়নি এমন সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এই বছর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
এই উদযাপনের অংশ হিসেবে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন এবং একটি ই-বুক উন্মোচনের অনুষ্ঠান হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং সফররত থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব-মনোনীত সারুন চারোয়েনসুওয়ান যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট এবং ই-বুক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব এবং স্থায়ী সচিব উভয়েই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। যা গত পাঁচ দশক ধরে বিকাশ লাভ করেছে এবং শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে যে কয়েকটি দেশ স্বাধীনতার খুব প্রথম দিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সক্ষমতার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার-প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি।
রিয়াদে বুধবার তার কার্যালয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মহামারি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ভাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
এ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
মন্ত্রী ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জানান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে নেয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি এ মাসের শেষে দু’দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম যৌথ কমিশন সভার বিষয়েও অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ১৩৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকরী সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশের মৎস্য, হালাল মাংস, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স ও সিরামিক পণ্যের মতো অগ্রসরমান বিভিন্ন খাতের উল্লেখ করে সৌদি আরবে এসব পণ্য আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সৌদি বিনিয়োগ এবং এ বিষয়ে সৌদি প্রস্তাবের ওপরও বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুপক্ষের সম্মতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান।
মন্ত্রী এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সক্ষমতার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর প্রচার-প্রসারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার্স এন্ড কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া সৌদি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সফরের আমন্ত্রণবার্তা পৌঁছে দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের নুতন মাত্রা হিসেবে দ্বিপক্ষীয় কার্যকর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে পারস্পারিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করে বৈঠকের সমাপ্তি হয়। সভায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাস হতে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা ও ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ঢাকা-মস্কো গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে: পুতিন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়া যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজনৈতিক, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, মানবিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিঃসন্দেহে তার দেশের জনগণের স্বার্থ পূরণ করে এবং এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির মধ্যে সঙ্গতি সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা ভারতের
রুশ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্মানের ভালো ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
শনিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অচলাবস্থা নিয়েও আলোচনা করেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম ২০২২-এ যোগ দিতে তুরস্ক সফর করছেন।
এসময় ড. মোমেন তুরস্কের আনতালিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আনতালিয়া কূটনীতি ফোরামে ‘এশিয়া এ নিউ: ফর সাসটেইনেবল রিজিওনাল গ্রোথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শেষ হলো এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন
কপ-২৭ সম্মেলনের আগে প্রতিশ্রুতিগুলো কাজে পরিণত করতে হবে: রবার্ট ডিকসন
বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা ভারত ও ফ্রান্সের
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রবিবার প্যারিসে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রিয়ানের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠক করেছেন।
সোমবার এক টুইটে জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, ইউক্রেন পরিস্থিতি, ইন্দো-প্যাসিফিক এবং জেসিপিওএ বিষয়ে আলোচনা আমাদের মধ্যে গভীর আস্থা ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে প্রতিফলিত করেছে। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকের ইইউ মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুখ।’
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর সেখান থেকে প্যারিসে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে পুতিনকে আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, আলোচনায় জয়শঙ্কর ও লে ড্রিয়ান মহামারিকালে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে একমত হন; বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন, জ্বালানি খাতে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়েও বিশেষ জোর দেয়া হয় আলোচনায়।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দু’পক্ষই ‘ব্লু ইকোনমি অ্যান্ড ওশান গভর্ন্যান্সের ভারত-ফ্রান্স রোডম্যাপ’ গ্রহণ করেছে। যার লক্ষ্য প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
বাইডেন ‘নিশ্চিত’ পুতিন ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
২ বছর আগে