মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, 'দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে দ্রব্যমূল্য কমাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য উৎপাদন খরচ ও পুরো মার্কেট ব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এ কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য’ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পোল্ট্রির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, পোল্ট্রির দাম কমাতে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ফিড। এক্ষেত্রে ফিডের নিরাপদতাও আমাদের দেখতে হবে। কারণ ফিড নিরাপদ না হলে পোল্ট্রিও নিরাপদ হবে না।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, অনেক জায়গায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে জাল দিয়ে না ধরে কিটনাশক বা বিষ প্রয়োগ করে ধরা হচ্ছে, যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমাদের শুধু খাদ্যের নিরাপদতার কথা মুখে বললেই হবে না বরং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে।
‘ওয়ান হেলথ’কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মানবস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, প্রাণীস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে কাজ না করলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। সবাইকে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের আয়োজনে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মি. জাকারিয়া; রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে আমরা টেকসই কৃষি উৎপাদন, নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য সরবরাহের চেইনকে উন্নত করার জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের ভেটেরিনারি, কৃষি, পশুপালন, মৎস্য, কৃষি প্রকৌশল এবং কৃষি অর্থনীতি অনুষদগুলো একসাথে মিলে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবির গবেষক দলের