নরসিংদীতে পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
পুলিশের হেফাজতে থাকা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। এমএসএফ সুষ্ঠু তদন্তের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি করছে। বিষয়টি এমএসএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্তবার জানানো হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার পর মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল এমএসএফ প্রতিষ্ঠা করেন।
এর আগে বুধবার সকালে রায়পুরা থানার শৌচাগার থেকে আসামি সুজন মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে তার পরনের শার্ট ব্যবহার করে ঝুলতে থাকা লাশটি পাওয়া যায়।
গত ৫ নভেম্বর রায়পুরা পৌর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া তার স্ত্রী লাভলী আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাকে ফরিদপুর সদর উপজেলার আটরশি দরবার শরিফ এলাকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ‘পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু’: মানবাধিকার সংগঠনের বিচার দাবি
এমএসএফ জানিয়েছে যে অভিযুক্তের মৃত্যু সংক্রান্ত বক্তব্য কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। শৌচাগার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। সেখানে অনেক মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। সুতরাং, এটি অসম্ভব যে কেউ এত গুরুতর ঘটনা লক্ষ্য করবে না। জেলা পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী হেফাজতে যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা দেয়া রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। তাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ