নরসিংদী
নরসিংদীতে ছেলের সামনেই ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনে কাটা পড়ে মনসুর আলী (৬২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
চোখের সামনে বাবার এমন মৃত্যু দেখে আব্দুল হাকিম (১৮) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ স্টেশনের সামনের পুরাতন রেল সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, একদল শ্রমিক ঘোড়াশাল এলাকার রেললাইন মেরামত ও রঙের কাজ করে আসছিলেন। রবিবার সকাল থেকে মনসুর ও তার ছেলে হাকিমসহ তিনজন রেললাইনে রঙের কাজ করছিলেন।
এসময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনটি সেতুর দিকে আসতে দেখে তিনজনই সেতু পার হওয়ার জন্য দৌড়াতে থাকেন।
একপর্যায়ে সেতুর রেললাইনের পাশে থাকা নিরাপদ চৌকিতে দুইজন অবস্থান করতে পারলেও ছেলের সামনে মনসুর ওই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন, শ্রমিকরা ঠিকাদারের অধীনে রেলওয়ে সেতুতে কাজ করছিলেন।
তিনি বলেন, এসময় ট্রেনে কাটা পড়ে মনসুর মারা যান। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় কাটেনি, ২ ট্রেনের যাত্রা বাতিল
২ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত আটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালক ও যাত্রীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উপজেলার ইটাখোলা-কটিয়াদী সড়কের পঁচারবাড়ী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- নরসিংদী সরকারি কলেজের প্রভাষক শিবপুর উপজেলার রশিদ ফকিরের ছেলে বৈলাব গ্রামের আবুবকর সিদ্দিক (৪০), মনোহরদীর সমির উদ্দিনের মেয়ে মারুফা বেগম (২৩), রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর গ্রামের মোস্তফা মিয়া (৪৮) ও সিএনজিচালক শিবপুর উপজেলার রহি উদ্দিনের ছেলে শাহিন মিয়া (৩৫)। অজ্ঞাত দুইজনের মধ্যে একজন নারী ও এক পুরুষ রয়েছে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিবপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি নারী-পুরুষসহ পাঁচজন যাত্রী নিয়ে মনোহরদীর দিকে যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি শিবপুরের পঁচরাবাড়ী পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই চালক ও পাঁচ যাত্রীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন, জানান, পঁচারবাড়ী এলাকায় দুর্ঘটনায় সিএনজির চালক ও যাত্রীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কারোরই পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
৩ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হাসপাতালেও হামলা
নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রথম দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে আহত ব্যক্তিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আরেক দফা হামলার শিকার হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার জাহিদ হোসেন (২৮), তার কর্মী মিনহাজুর রহমান (২৩), ইয়াসিন আহমেদ (২৯), সানভির আলম নিবির (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৭), জাহিদ বিন রাফি (২২), দুলাল (২৫), রিপন (২২), তৌফিক (২৭), অয়ন (২৯), শিমুল (২০), শিপন (২৫), জীবন (২০) এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
জানা যায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেনের জাপ্পি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ভাষ্য, খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে সভায় সামনের দিকের কিছু চেয়ারে জাহিদের কর্মীরা বসতে গেলে তাদের বাধা দেন ছিদ্দিকুর। এ নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মীরা। সেখানে অন্তত তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ওই ঘটনায় ১৪ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তত ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন নাহিদ ও তার কর্মীরা। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম।’
হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কার্যালয়ে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি। তারা আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
৪ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাবতলী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলশানে ২ জনের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরের আক্তারুজ্জামানের ছেলে দারুল কারার সিফাত ও একই এলাকার ইকবাল ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানায়, সোহেলকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নরসিংদীর চিনিশপুরে ফিরছিলেন সিফাত। এসময় শিবপুরের গাবতলী এলাকায় পৌঁছালে একটি কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সোহেল সারোয়ার বলেন, কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জাকের পার্টির সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
নরসিংদীতে রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় শিশু নিহত
নরসিংদীতে রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় মুনতাহা (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুটির নানি মমতাজ বেগম (৫০)।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার মরজাল বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
মুনতাহা পিরিজকান্দীর প্রবাসী মো. মামুন মিয়ার মেয়ে। মমতাজ শিবপুরের গাবতলী এলাকার মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ও নিহত মুনতাহার নানি।
স্থানীয়রা জানান, মমতাজ মুনতাহাকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় লাবিবা পরিবহনের বাসচাপায় মুনতাহার মৃত্যু হয়। আহত হন মমতাজ। স্থানীয়রা মমতাজকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল মিয়া বলেন, বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
১ মাস আগে
নরসিংদীতে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীর শিবপুরে দৌলত হোসেন খান (৫৩) নামে এক পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে দত্তেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দৌলত মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়ার মৃত আরজু খার ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, চুরির ঘটনা আঁচ করতে পেরে পোল্ট্রি ফার্মের দুইজন কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ঘর থেকে বের হন দৌলত। চোরকে ধাওয়া দিলে বাড়ির অদূরে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা দৌলতকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান দৌলত খান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করলেও কে বা কারা কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে অজ্ঞাত যুবককে কুপিয়ে হত্যা
১ মাস আগে
নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলার মাধবদী ও পলাশ থানার টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালিত হয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। এর অংশ হিসেবে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মাধবদী থানার টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনন্দী সেতুর পূর্বপাশে বাংলা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
এসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় বাজারের ব্যাগে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড সবুজ রঙের ওয়ান শুটারগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
একই রাতে পলাশ থানা পুলিশ ফুলবাড়িয়া হালদারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি মাধবদী এবং পলাশ থানা হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত ৩টি অস্ত্র এবং ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শামসুল আরেফীন।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
২ মাস আগে
নরসিংদীর জনতা জুটমিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
নরসিংদী পলাশ উপজেলার জনতা জুটমিলের শ্রমিকদের ভাঙচুর ও লুটপাটের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ও প্রধান ফটকে নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের জানানো হয়।
জনতা জুটমিলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মবহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধের নির্দেশ
এদিকে জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজার হাজার শ্রমিক।
জনতা জুট মিলস লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুটমিলস লিমিটেডে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বন্ধকালীন দীর্ঘসূত্রিতার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত শ্রমিকরা ধারা ১২ (৬), ১২ (৭) বা ১২ (৮) অনুসারে মজুরি পাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের জনতা জুটমিলস লিমিটেডের কর্মক্ষেত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেডের ১৪ দফা দাবি আদায়কে কেন্দ্র হামলা চালায়।
হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে মিলের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
সিলেটের শাহপরানের মাজারে গান-বাজনা বন্ধের ঘোষণা
২ মাস আগে
নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করে নরসিংদী সেনাবাহিনী।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- একটি শটগান, চায়নিজ রাইফেলের দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চায়নিজ রাইফেলের ট্রিগার ম্যাকানিজম।
আরও পড়ুন: লুণ্ঠিত ১০৯৭ অস্ত্র উদ্ধার: পুলিশ সদর দপ্তর
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদের কাছে এসব অস্ত্র হস্তান্তর করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নরসিংদী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফাহিম মাহবুব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই দুর্বৃত্তরা নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট করে ৮৫টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫ রাউন্ড গুলি নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযানকে স্বাগত জানালো আ. লীগ
২ মাস আগে
নরসিংদীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৫
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাসাইলে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনটি মোটরসাইকেলের আরও পাঁচ আরোহী।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মহাসড়কের বাসাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ হোসেন (২৬) পুরান ঢাকার কেরাণীগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আহতরা হলো- একই এলাকার হাবিব, ইয়ামিন নরসিংদীর জিনারদী এলাকার আতিকুর রহামন, আরিফ এবং সুজন মিয়া।
স্থানীয়রা জানায়, দুটি মোটরসাইকেলে করে সিলেট থেকে আনন্দ ভ্রমণ শেষে পুরান ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় যাচ্ছিলেন আরিফ ও তার দুই বন্ধু। একই সময়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে নরসিংদীর জিনারদী এলাকার অপর তিনজন ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মিতালী পরিবহনের (ফাহিমা এন্টারপ্রাইজের) দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরিফ হোসেনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় আহত এবং নিহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাসটি ঘটনাস্থলে থাকলেও পালিয়েছে চালক ও সহযোগী।
এব্যাপারে ইটাখোলা হাইওয়ে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। বাসটি আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।
২ মাস আগে