নরসিংদী
নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, ১ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্রান্সফরমারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল শহিদ জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ১৩২-৩৩ কেভির ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ২টি ইউনিটের ১ ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ট্রান্সফরমারটি পুড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
শহিদ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানা যাবে।
এদিকে, ভোরে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পলাশ উপজেলা ও পাশ্ববর্তী কালীগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হকের কাছে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তিনি পরে ফোন দিতে বলেন।
৭১ দিন আগে
নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
নরসিংদীর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ইদন মিয়া (৫৫) মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় নি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন,আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভাজন তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে তা সংঘর্ষের রুপ নেয়।
৭৮ দিন আগে
নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ে সিএনজি স্টেশনের দখল, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঁচদোনা মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন— পাঁচদোনা এলাকার তাইজুদ্দিনের ছেলে হামিদ মিয়া (২৮) ও বিল্লাল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৮)। অন্য আহতদের নাম জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি ও পাঁচদোনা মোড়ের সিএনজি স্টেশন দখল নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই বিরোধ শুরু হয় ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লালু মিয়া ও বিএনপি কর্মী মোসাদ্দেক হোসেনের মধ্যে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ, হামলা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গতকাল (রোববার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হামিদ মিয়া ও হাসান মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি।’
১০৯ দিন আগে
নরসিংদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ‘অর্ধশতাধিক’ দোকান ভস্মীভূত
নরসিংদীর মাধবদী বাজারের মুড়িপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুনে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে যাওয়ার দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় পাঁচ ঘণ্টা পর তা পুরোপুরো নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে মাধবদী বড় মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘোষণা দেওয়া হলে আশপাশের মানুষজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে মাধবদী, নরসিংদী ও পলাশের ৫টি ইউনিট এসে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে তা বাজারের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের নিরলস চেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টার পর সকাল ৭টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সকাল ৯টার দিয়ে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে সকাল ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান, ক্ষতি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে গেছে, যার মধ্যে ১০টি স্বর্ণের দোকানও রয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৫৩ দিন আগে
নরসিংদীতে ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নরসিংদীর রায়পুরায় ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর কক্ষে শামীম নামে এক ব্যক্তি মোহাম্মদ শাহিন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২ জুন) দুপুর ২-৩টর দিকে উপজেলার হাসনাবাদে স্থাপিত আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর কক্ষের ভিতর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন (৪২) মির্জানগর ইউনিয়নের মেজেরকান্দী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। হাসনাবাদ বাজারের একজন স্যানিটারী ব্যবসায়ী তিনি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা দুইটার দিকে তিনি ‘তাহসিন ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড স্যানিটারী’ প্রতিষ্ঠানের ট্রেডলাইসেন্স করতে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ যান। সেখানে হিসাব সহকারীর কক্ষে বসে ট্রেডলাইসেন্স সংক্রান্ত কথা বার্তা বলার সময় হঠাৎ করে শামীম একটি ধারালো দা নিয়ে শাহিনকে কোপাতে থাকে। এসময় সঙ্গে থাকা হিসাব সহকারী কামাল হোসেন সহ অন্যান্যরা ঘাতক শামীমকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। শামীমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সচিবসহ আরও দুইজন আহত হয়। পরে এলাকাবাসী ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে মাদক সেবী শামীম মাতাল অবস্থায় চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। এসময় ট্রেডলাইসেন্স করতে আসা শাহিন ও আমি মাদকসেবী শামীমকে চিৎকার চেচামেচি করতে বারণ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে এলে আমরা রুমের দরজা বন্ধ করে দেই।
এসয় মাদক সেবী শামীম একটি বাঁশ নিয়ে দরজায় সজোরে আঘাত করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে সে ধারালো দা নিয়ে আমার রুমে ঢুকেই শাহিনকে দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। আমিসহ অন্যরা ফিরানোর চেষ্টা করলে দুইজন আহত হই। এ অবস্থায় সে শাহিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ব্যবসায়ী শাহিনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫৫ দিন আগে
নরসিংদীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু নিহত
নরসিংদীর শিবপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী তিন তরুণ নিহত হয়েছেন। সম্পর্কে তারা একে অপরের বন্ধু ছিলেন।
সোমবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা ইটাখোলা-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের বান্দারদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— একই উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মির্জাকান্দি এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫), একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে অপু মিয়া (২০) ও বদু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া (২৩)।
স্বজনরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে সাইফুল, অপু ও আশিক নরসিংদী শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বান্দারদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সামনে পড়ে যায় তাদের মোটরসাইকেল। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং তিনজনই সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৪
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ও আশিক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত অপু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার তিন তরুণের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় বালা জানান, নিহতদের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭৮ দিন আগে
নরসিংদীতে ছেলের শাবলের আঘাতে বাবা নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় ছেলের শাবলের আঘাতে কবির মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের বাহেরচর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কবির মিয়া ওই এলাকার ফজলু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত ছেলে মনির হোসেন (২৮) ঘটনাস্থল থেকেই আটক হন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ শাবল দিয়ে বাবাকে আঘাত করেন মনির। গুরুতর আহত কবির দৌড়ে পাশের একটি জমিতে পালাতে গেলে পেছন থেকে ফের আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা ভয়ে বাধা দিতে সাহস পাননি। পরে এলাকাবাসী মিলে মনিরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
১৯১ দিন আগে
নরসিংদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর শিবপুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ মে) বিকালে উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের লেবুরটেক এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করলেও তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলেও জানান ওসি আফজাল হোসাইন।
২০১ দিন আগে
নরসিংদীতে সাংবাদিক ও তার পরিবারের ওপর হামলা
নরসিংদীতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় অল্পের জন্য সপরিবারে প্রাণে রক্ষা পান সাংবাদিক আকরাম হোসেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হাসান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ হামলা হয়।
আকরাম হোসেন দেশ টেলিভিশনের নরসিংদী প্রতিনিধি ও নরসিংদী প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
আকরাম হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সপরিবারে হাসান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় অজ্ঞাতনামা তিন যুবক চাপাতি বের করে আমাকে লক্ষ্য করে কোপ মারে। তবে কোপটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যাই। চাপাতির আঘাতটি আমার গাড়িতে লেগে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বোমা হামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা শুরু
‘এ সময় পরিবারের সদস্যদেরও হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করার চেষ্টা করলে আমি তা প্রতিহত করি। পরে দুর্বৃত্তরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।’
হামলার সময় তার সঙ্গে স্ত্রী, দুই বছরের সন্তান ও ভাগ্নি ছিল বলে জানান আকরাম হোসেন।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আশা করি দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
এদিকে, সাংবাদিক আকরাম হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে নরসিংদী প্রেসক্লাব, নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
২০৮ দিন আগে
নরসিংদী কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, ‘হত্যার’ অভিযোগ স্বজনদের
নরসিংদী জেলা কারাগারে রোকন মিয়া (৩৫) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হলেও ১৩ ঘণ্টা পর আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় নিহতের স্বজনদের জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খবর পেয়ে স্বজনরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন। নিহত রোকন মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় রোকন মারা গেছে। অথচ পরিবারকে জানানো হয়েছে আজ (বুধবার) সকাল ১০টায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে অথচ স্বজনদের জানানো হয়নি। মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টা পর স্বজনদের জানানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে কারা কর্তৃপক্ষ বলে—তাদের ভুল হয়েছে। স্বজনদের দাবি, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শামীম ইকবাল বলেন, ‘২০২৩ সালের একটি মাদক মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ওই কয়েদি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
তিনি আরও বলেন, ‘ডায়বেটিকস বা মাদকাসক্তের কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা শুনার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সকাল ১০টায় তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করতেই পারে। কারাগারে এতোগুলো মানুষ থাকে, এখানে কাউকে মেরে ফেলার ঘটনা কারাগারের ইতিহাসে কোনো দিনই ছিল না। এটা মানুষের একটি ভ্রান্ত ধারণা।
নরসিংদীর জেলার সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট রাফিউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের রিপোর্টে পরিষ্কার বলা আছে তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় সে মৃত ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে তাকে মৃত অবস্থায় রিসিভ করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘লাশ ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২১৮ দিন আগে