সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করায় সোমবার বিমানবন্দর সড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তাদের চার দফা দাবি আদায়ের জন্য দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রাস্তায় নামেন এবং সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে রবিবার, রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস নিহত শিক্ষার্থী নাদিয়াকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আর তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালক মেহেদী আহত হন।
নাদিয়া (২৪) নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি- ভিক্টর পরিবহন ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল; নাদিয়া পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান; ঘাতক বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার এবং কাওলা এলাকায় নিরাপদ বাস স্টপেজ নির্মাণের নিশ্চয়তা প্রদান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী নিহত: চালক ও হেলপার আটক
ওসি বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে; যা মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়।
দুপুর ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে বন্ধু মেহেদীর মোটরসাইকেলে চড়ে নাদিয়া নারদা এলাকায় যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান জানান, নাদিয়া রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার বন্ধু মেহেদী সামান্য আহত হন।