খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা; সকলকে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মাঠে উৎপাদিত ফসল কিংবা পুকুরের তাজা মাছ কিনে আনলেও, ভোক্তার টেবিলে যেতে যে কোন পর্যায়ে সেটা অনিরাপদ হতে পারে। সেকারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন সকলের সচেতনতা ও সদিচ্ছা।
বুধবার ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুদার বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর থেকেই ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে তারা নিরলস কাজ করে চলেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সভা,সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে ভোক্তাদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদেরও সেনসিটাইজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের খাবার সংকট নেই। এখন জনগণকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি সুস্থ সবল জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকালেও দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। দেশে বর্তমানে খাদ্যের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য সারাদেশে জেলা,উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে ওএমএস এর মাধ্যমে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করা হচ্ছে:খাদ্যমন্ত্রী