আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি তারা, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছে সেটি বলেছি।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সংলাপ হবে কি না জানতে চাননি তারা। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন।
আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে।
আমি উনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশের জনগেণের কাছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে।
এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন এই উপমহাদেশে নেই- এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে- সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
এ তিনটি জিনিস দেখেলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী