পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বড় দেশগুলোর কূটনীতিকরা সরাসরি তাদের বিভিন্ন পণ্য কেনার ওপর জোর দেন, কিন্তু বাংলাদেশ তা নেতিবাচকভাবে নেয় না।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অংশ। সব রাষ্ট্রদূতই এটা করেন। আমরাও একই কাজ করি, কিন্তু এটা তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) মতো নয়।’
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের প্রস্তাব আসছে এটা সত্য নয়, এটা অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ছিল।
মোমেন বলেন, সরকার বিমানবহরের জন্য ক্রয়ের বৈচিত্রের দিকে নজর রাখছে এবং এয়ারবাস থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী: ঢাকায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
তবে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে সরকার আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তবে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে এটি ক্রয় করবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এয়ারবাসের কাছ থেকে কিনতে সম্মত হওয়ার পর বোয়িং এখন কম দামে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা আমাদের অনুরোধ করেছে কিন্তু আমরা এটিকে আমাদের উপর চাপ হিসাবে নিচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই খুশি।
তিনি বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি।
দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের অস্বস্তির কথা নাকচ করে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র 'অহিংস' নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
ড. মোমেন বলেন, নেতৃত্বের পদে সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে সরকার এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।’
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেই বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের