সম্প্রতি ‘ই-লার্নিং এবং উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ই-লার্নিং ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা।
ফেইথ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ওয়েবিনারটির আয়োজন করে ম্যাকওয়েডন এডুকেশন (ম্যাকওয়েডন ডটকম) বাংলাদেশ।
শিক্ষানীতিতে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রমে আরও গুরুত্বারোপ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) অধ্যাপক মো. ফায়াজ খান করোনাভাইরাসের সময় বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রস্তুতি সম্পর্কে মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেন।
ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, উচ্চ মূল্যের মোবাইল ডেটা এবং বিদ্যুৎ সমস্যাসহ অনলাইনে শিক্ষাদান এবং শেখার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তিনি।
উচ্চ শিক্ষার বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে (বেসরকারি ও সরকারি) প্রস্তুত করার জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান অধ্যাপক খান।
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ইউজিসি ও গ্রামীণ ফোনের সমঝোতা
ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি বিষয়ক অধ্যাপক ড. ক্রিস দেদে উচ্চ শিক্ষায় ‘ই-লার্নিং’ বা ‘ডিসট্যান্স লার্নি‘ বিষয়ে তার চার দশকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি আজীবন ধরে শেখার গুরুত্ব এবং মানুষ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস রিও গ্রান্ডে ভ্যালির এডুকেশনাল টেকনোলজির অধ্যাপক ড. জোসেফ কর্বেল মহামারির মধ্যে ডিসট্যান্স লার্নিংয়ের উদ্যোগকে সফল করার জন্য আরও বিনিয়োগ এবং সংস্থানের মাধ্যমে নিজ নিজ অনুষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিসট্যান্স লার্নিং অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসডিএলএ) নির্বাহী পরিচালক ড. রেগি স্মিথ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে ই-লার্নিংয়ের জন্য সেরা অনুশীলন এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
২০২১ সালের মধ্যে অনলাইনে আসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক ৪০টি সার্ভিস: পলক
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হয়েছে, সেগুলো সমাধান করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়া ম্যাকওয়েডন এডুকেশনের সাথে ইউএসডিএল’র যোগাযোগ বাড়ানোরও আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. স্মিথ।
ওয়েবিনারে ম্যাকওয়েডনের প্রেসিডেন্ট ড. বদরুল হুদা খান ই-লার্নিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে সব অংশীদারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অর্থবহ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।