ফেনীর আলোচিত নুসরাত হত্যা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে বাদী ও বিবাদী পক্ষ।
রবিবার সকালে সোনাগাজীর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের পক্ষে ফেনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানি এবং দুপুরে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির পরিবার পরিজনরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন শুনানি ৩ মাস মুলতবি
নুসরাত হত্যার ৩য় বাষির্কী, সামাজিক অপপ্রচারে আতংকিত পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে নুসরাতের ভাই নোমান বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি পক্ষ। তারা সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানাভাবে তাদের জড়িয়ে হয়রানি ও গুজব ছড়াচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সকল তথ্য প্রমাণ সহকারে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এই রায়কে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই এ নিয়ে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান নোমান।
অন্যদিকে দুপুরের দিকে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে নুসরাত হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের দাবিতে মামলায় মৃত্যুণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির পরিবার ও তাদের স্বজনরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ও মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে তারা জানায়, নুসরাত জাহান রাফি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ একটি মহল ঘটনাটিকে হত্যার নাটক সাজিয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের ফাঁসিয়েছে। তাই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বাতিল করে ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি তোলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মাদরাসা থেকে নুসরাত জাহান রাফিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
ওই মামলায় একই বছরের ২৪ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: আলোচিত নুসরাত হত্যার দুই বছর
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ২ বছর, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর চায় পরিবার