রবিবার আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু আগের আবেদনের শুনানি করলে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ তা নামঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিনের দাবি, গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বলেন, আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি যখন বক্তব্যটি দেন তখন আসামিরা পিবিআই হেফাজতে ছিলেন, তারা তখন জবানবন্দি দেয়নি। তার বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরদিন আসামি শামিম ও নূর উদ্দিনকে নির্যাতন করে জবানবন্দি আদায় করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হাফেজ আহমদ ও বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহাজাহান সাজু আসামি পক্ষের আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলায় তার সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই জানিয়ে আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন হয়রানির মামলা তুলে না নেয়ায় ৬ এপ্রিল নুসরাতকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।