মঙ্গলবার সকালে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
তিনি বলেন, নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে তথ্য দিয়েছেন যে তার গায়ে আগুন দেয়ার সময় কেউ একজন ‘শম্পা চল’ বলেছেন বলে তিনি শুনেছেন। সেই সূত্রে শম্পাকে আটক করেছে পুলিশ। শম্পা ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন নুসরাত সোমবার ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ হিসেবে তার শরীরে আগুন দেয়া বোরকা পরা চারজনের মধ্যে একজনের নাম শম্পা বলে জানান। তার দেয়া বক্তব্য মামলার বিচারকাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘শম্পা বা আরেকটা নাম আছে বলে আমরা শুনেছি। নামটা কিন্তু কনফার্ম না। তারপরও ওই নামের মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তাকে আমরা তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত। এ সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে- এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চার তলায় যান তিনি। সেখানে বোরকা পরা ৪-৫ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতাহানির মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সম্পূরক এজাহার দাখিল করেছেন।
এর আগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তাকে ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে। তিনি এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন।