তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকাল ৫টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দর এলাকায় এক বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং সেখানে বিদ্যা দেবী ভান্ডারী রাষ্ট্রপতি হামিদকে বিদায় জানান।
দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কূটনৈতিক কোরের ডিন, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং সিনিয়র সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সফরের প্রথম দিন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালি ম্যারিয়ট কাঠমান্ডু হোটেলে রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া, রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রথম দিন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য ভক্তপুর দরবার স্কয়ার ও কাঠমান্ডুতে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের আয়োজনে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ হাউজে নৈশভোজে অংশ নেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন ১৩ নভেম্বর জাতীয় পরিষদের (উচ্চ কক্ষ) চেয়ারম্যান গণেশ প্রসাদ তিমিলসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল, নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা শের বাহাদুর দেউবা এবং প্রধানমন্ত্রী ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলি রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সেই সাথে একই দিনে নেপালের প্রেসিডেনশিয়াল হাউজ শীতল নিবাসে দুই দেশের রাষ্ট্রপতির মাঝে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল হামিদ ১৪ নভেম্বর পোখারায় যান এবং হিমালয়ের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করেন।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব এবং তার পরিবারের সদস্যরা সফরে তার সাথে ছিলেন।