ডিজিটালাইজেশনের যুগে যথাযথ রিপোর্টিং এবং নৈতিক সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণ চীনের গুয়াংজুতে জড়ো হয়েছেন বৈশ্বিক মিডিয়া নেতারা।

৫ম ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে ১০১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, যার মধ্যে ১৯৭টি মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতিনিধিও রয়েছেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য 'বুস্টিং গ্লোবাল কনফিডেন্স, প্রমোটিং মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট'।

ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ারের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনে ২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইউএনবির পরিচালক মাসুদ জামিল খানও সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন।

সম্মেলনটির সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।  যেখানে প্রতিনিধিরা মানব উন্নয়ন ও নিরাপত্তা, নতুন প্রযুক্তিগত সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ, নতুন যুগে গণমাধ্যম ও বাজার এবং অভিন্ন উদ্বেগের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

আরও পড়ুন: চীনে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে ইউএনবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনায়েতউল্লাহ খান

রবিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকতার নৈতিকতা মেনে চলা এবং পেশাগত মান পূরণে বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে উদ্ভাবন এবং উদীয়মান প্রযুক্তির যৌক্তিক ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়।

সিনহুয়া অনুসারে, ডব্লিউএমএসের নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রেসিডেন্ট ফু হুয়া তার বক্তব্যে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমকে ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নে আস্থা বাড়াতে, বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

সিনহুয়া বলেছে, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং এবং অন্যান্য অতিথিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা একমত হন যে মানবতা যেহেতু অনেক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তাই একমাত্র যোগাযোগ আরও গভীরে নেওয়া ও সহযোগিতা জোরদার করার মাধ্যমেই আমরা আস্থা বৃদ্ধি করতে এবং একটি অভিন্ন ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি।

যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ব, কাল এবং ইতিহাস দ্বারা উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যোগাযোগের একটি সেতু তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্ব মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে যোগ দিতে গুয়াংজুতে ইউএনবির প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান

দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন এবং শিল্পায়নের মতো ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদার প্রতি বৈশ্বিক গণমাধ্যম আরও মনোযোগ দেবে এবং উন্নয়নে ভারসাম্যহীনতা ও অপ্রতুলতা নিরসনে সহায়তা করবে বলে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গণমাধ্যমের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে আমাদের শ্রোতাদের কাছে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ, বিস্তৃত ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার করতে হবে; ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে হবে এবং গুজব ও কুসংস্কারের বিরোধিতা করতে হবে।’

অংশগ্রহণকারীরা বৈশ্বিক গণমাধ্যম সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা জোরদার, বিশ্ব গণমাধ্যম শিল্পের অভিন্ন উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক পটভূমি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উন্নয়নের স্থিতিসম্পন্ন দেশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ সহজতর করার আহ্বান জানান। যাতে একটি অস্থিতিশীল বিশ্বে বৃহত্তর স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক শক্তি সরবরাহ করা যায়।

আরও পড়ুন: এনায়েতউল্লাহ খানকে 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত করেছে রোমানিয়া