যেকোনো সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে চিনি, পাট, টেক্সটাইল মিল এবং রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি চাষের জন্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আধা সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং রেলপথমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করে চিঠিতে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল অবস্থায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারি মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমিতে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান, চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলপথের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: কৃষিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে কৃষিমন্ত্রী
আবাদের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সে সঙ্গে সার ও জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশংকা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কোন জমি যেন পতিত না থাকে, এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
এ প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসলের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি, বসতবাড়িতে পুষ্টিবাগান স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী