চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। এসময় মাদক বাণিজ্য করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। রবিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পতেঙ্গা সি-বিচের মেইন পয়েন্ট ঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব।
আটকেরা হলেন- মো. আব্দুল মালেক (৫২) ও তার ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২০), মো. ওমর ফারুক (৪০), মো. নিজাম উদ্দিন (৩০) এবং মো. হাসান মিয়া (২১)।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,আটক পাঁচ জনের মধ্যে আব্দুল মালেক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাইট গার্ড এবং মো. হাসান মিয়া তার ছেলে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে স্পিডবোটযোগে সাগর পথে পতেঙ্গা সি-বিচের দিকে আসছিল মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা ওই চালান থেকে কিছু অংশ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার পতেঙ্গা সিবিচ মেইন পয়েন্ট ঘাটের কিছুটা দূরে সাগরে একটি লাইফ বোটের লোকজনদের কাছে এবং বাকিগুলো অন্য কোথাও দেয়ার কথা ছিল। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পতেঙ্গা সিবিচ মেইন পয়েন্ট ঘাটে অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নোঙ্গর করা অবস্থায় একটি লাইফ বোট ও স্পিডবোট করে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের সদস্যরা ওই স্পিডবোটে থাকা দুই জন ও লাইফ বোটে থাকা তিনজনসহ মোট পাঁচ জনকে আটক করে। এসময় তাদের দুইটি ট্র্যাভেল ব্যাগ তল্লাশি করে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, মালেক দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদকের কাজের সঙ্গে জড়িত। তার সঠিক সংকেতের ওপর ভিত্তি করেই স্পিডবোট ইয়াবা নিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসে এবং সে মাদকদ্রব্যের চালান গ্রহণ করে তা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। আর তার ছেলে হাসান প্রতিবন্ধী; সে বেশিরভাগ সময় টেকনাফে থাকে এবং ইয়াবার চালান আনার জন্য টেকনাফ থেকে সে সবকিছু গুছিয়ে দেয়।
অন্যদিকে নিজাম ছিল স্পিড বোট চালক। তবে কয়েকমাস ধরে গার্মেন্টসে চাকরি নেয় এবং ছুটির দিনে অবৈধ মাদক আনার বাহক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া মো. ওমর ফারুক ওরফে প্যাকেজ ফারুক স্পিডবোটের মালিক। তার অনেকগুলো বোট থাকলেও মাদক চোরাচালানের কাজে একটি মাত্র বোট ব্যবহার করতো।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার নিয়ে ‘কটূক্তি’র অভিযোগ, ব্যবসায়ী আটক