শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. পারভেজ হাসান।
তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ ও পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩৫টি ট্রলার, আট লাখ মিটার জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তাছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর চরমোহন মাছের অস্থায়ী আরত ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। এ কারণে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে ইলিশ শিকার করে। তাই আমরা রাতে নড়িয়ার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান। সবার সহযোগিতায় আমরা মা ইলিশ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।
অভিযানের সময় নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মৃধা, নড়িয়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ২৪ ঘন্টায় জেলার নড়িয়ায় ২৭ জন, ভেদরগঞ্জ আট জন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ছয় জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আট লাখ ৩০ হাজার মিটার জাল ও ১৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।