গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও, দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের (এমএমসিএফডি) ঘাটতি থাকবে।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি যা সংযুক্ত নেটওয়ার্কের অধীনে ৪০০০ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে সামগ্রিক সরবরাহকে ৩০০০ এমএমসিএফডিতে বাড়াবে।’
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে কাতার ও ওমান থেকে গ্যাস আমদানির পাশাপাশি সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ১২টি এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।
‘আমরা আশা করি এই আমদানি একটি বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতিতে একটি ভাল প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এটি একটি খুব ভাল খবর যে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমছে।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে গত বছরের জুলাইয়ে আমদানি স্থগিত করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করে সরকার।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বর্তমানে, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতার এবং ওমানের সঙ্গে মোট ৫৬টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হবে।
তবে কী দামে কতটুকু গ্যাস আমদানি করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
জেনেন্দ্র নাথ বলেন, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ খনন করার, যখন দেশের গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ এমএমসিএফডি-তে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা ও নারায়ণগঞ্জে ৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে