ঘাটতি
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি নেই, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে ড. মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো ঘাটতি নেই, যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন ‘
বাজারে চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. মনসুর ব্যবসায়ীদের দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি পরামর্শ দেন, 'এলসি খুলুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন এবং বাজারের চাহিদা মেটান।’
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করল সরকার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর তার বক্তব্যে একটি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। আস্থা প্রকাশ করেন যে, বাজার শক্তি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, 'আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, তবে পরিস্থিতি শান্ত হতে সময় লাগবে।’
ড. মনসুর রেশনিং কর্মসূচি সম্প্রসারণসহ মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ঘোষণা করেন সরকার শিগগিরই ১ কোটি সুবিধাভোগী পরিবারের প্রত্যেকের জন্য বর্তমান পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) উদ্যোগের জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’
মুদ্রাস্ফীতিকে সরাসরি মোকাবিলা করে ড. মনসুর জোর দেন, মুদ্রাস্ফীতি ‘শেষ পর্যন্ত একটি আর্থিক ঘটনা’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর মুদ্রানীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। তিনি অতিরিক্ত বাজার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং অতীতের ঘটনাগুলোও স্মরণ করিয়ে দেন। যেখানে কঠোর পদক্ষেপের ফলে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করি তবে পণ্যগুলো বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ১/১১-এর সময়কালে এবং সাম্প্রতিক ডিম সংকটের সময়ও আমরা তা দেখেছি। বরং এর পরিবর্তে, তিনি ‘সহনশীল ও কার্যকর পর্যবেক্ষণের’ পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সংলাপের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছি, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ নয়।’
বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি পরিমিত পদ্ধতির উপর জোর দেন, আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করেন ড. মনসুর। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির লক্ষ্য রাখি। এ প্রেক্ষাপটে হঠকারী সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে - এটি কেবল সময়ের প্রয়োজন।’
সরবরাহ বাড়ানোর সরকারি প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত স্বস্থি আনতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
১ মাস আগে
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিতে চায় সরকার
ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে মোট ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
এর মধ্যে বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ থেকে ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণভাবে ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
উল্লেখ্য, বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১৯ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা পরিশোধের পর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বরাদ্দ কমছে যোগাযোগ খাতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট: তামাকপণ্যের দাম বাড়লেও সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে
৬ মাস আগে
রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। রমজানে কোনো কিছুর অভাব হবে না।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪-এ যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ছোলা, খেজুর, চিনির মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমদানির ব্যবস্থা রয়েছে। ‘সুতরাং, এতে কোনো সমস্যা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বৈদেশিক লেনদেনে ৮.২২ বিলিয়ন ঘাটতির সম্মুখীন বাংলাদেশ
আমদানিতে কঠোরতা আরোপ করা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ অর্থবছরে সেই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিগত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ ৬৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এই সময়ের মধ্যে ৫২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এ কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর ২০২৩-এ, আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যেখানে রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আশানুরূপ হচ্ছে না, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমছে, এর প্রভাবে বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে পড়ছে।
২০২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি সামগ্রিক বাণিজ্য ভারসাম্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি করেছে। এই ঘাটতি ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সামগ্রিক চলতি হিসাবে ঘাটতি বৃদ্ধির অর্থ হলো বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে আসা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ যা পরিশোধ করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। বিবি আগের অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। এভাবে ডলার বিক্রির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অর্থবছর ২০২৩ ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন হয়েছে যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন।
২০২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি, রেমিট্যান্সের মন্দা এবং এফডিআই প্রবাহের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
১ বছর আগে
দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।
তিনি বলেন, মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে বোরো উৎপাদন হয়েছে ২০১ দশমিক ৮৬ টন, আউশ ৩০ দশমিক ০১ টন এবং আমন ১৪৯ দশমিক ৫৮ টন।
সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেওয়া তথ্যানুযায়ী মোট ৩৯২ দশমিক ৩১ টন চাল ও গম দেশে উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে চাল ৩৮১ দশমিক ৪৫ টন এবং গম ১০ দশমিক ৮৬ টন।
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস ২০২২) অনুযায়ী মানুষের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম। যার মধ্যে চাল ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম এবং গম ২২ দশমিক ৯ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
সে অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ টন (চাল ২০৩ দশমিক ৯৪ লাখ টন এবং গম ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ টন); যা মোট খাদ্য উৎপাদনের তুলনায় কম।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ বিবেচনায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন (আনুমানিক)। এ বিবেচনায় দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ টন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের আগের প্যাটার্ন বজায় থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। [সূত্র: ২০২২ সালের আদমশুমারি বিবিএস]।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২২-২৩ অর্থবছরে ২০২৩ সালের ৪ জুন পর্যন্ত সরকার ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম আমদানি করেছে; অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ টন গম; অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে (৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ লাখ টন (১৩ দশমিক ৮৩ লাখ টন চাল ও ৩ দশমিক ৬১ লাখ টন গম)।
আরও পড়ুন: সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
৭৫ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্বে বাড়বে বাজেট ঘাটতি: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা হবে, যার ফলে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে।
এতে বলা হয়েছে, ‘সরকার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়ে ৭৫ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা হয়েছে, এটি সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
সিপিডি ইঙ্গিত দিয়েছে যে সরকার দেশীয় উৎস (ব্যাংক) থেকে ঋণ গ্রহণ করলে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতিমূলক ব্যবস্থা তৈরি হবে। বরং এটি পরামর্শ দেয় যে সরকারের উচিত বিদেশি অর্থায়নে বাজেটের সহায়তা জোগাড় করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
শনিবার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতির থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন, এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় পর্যালোচনা।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিপিডি জানিয়েছে, বিপিসি’র গত সাত বছরে অর্থবছর ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট মুনাফা ছিল প্রায় ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। আয়কর হিসাবে সাত হাজার ৭২৭ কোটি টাকা দেওয়ার পরে বিপিসির নিট মুনাফা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা।
এতে বলা হয়েছে, একচেটিয়া ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দেশের নাগরিকদের জরিমানা করে ক্ষতিপূরণ লাভ করা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সরকারকে মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি বলেছে যে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সৌদি আরব থেকে দেশে প্রায় তিন দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, কিন্তু চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স কমে তিন দশমিক ০৪ বিলিয়ন হয়েছে।
সিপিডি সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সের আকস্মিক বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিংয়ের বিভিন্ন আকারে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পাঠানো চোরাচালানকৃত অর্থের পুনর্ব্যবহার হচ্ছে।
এটি দাম কমানোর জন্য সাময়িকভাবে স্বস্তি হিসাবে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজার মনিটরিংও প্রয়োজন।
সিপিডির দৃষ্টিতে দরিদ্রদের সরাসরি সহায়তার সুযোগ বাড়ানো দরকার। সঠিক মানুষ পাচ্ছে কিনা তাও নিশ্চিত করতে হবে।
এটি উল্লেখ করেছে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ইতিবাচক নয় এবং লক্ষ্যমাত্রার কম হচ্ছে। মে ও জুন মাসে (চলতি অর্থবছরের শেষ দুই মাস) তা ৪১ শতাংশ বাড়াতে হবে, যা খুবই কঠিন।
বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান
১ বছর আগে
পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে ১০০০ এমএমসিএফডি: পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান
গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও, দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের (এমএমসিএফডি) ঘাটতি থাকবে।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি যা সংযুক্ত নেটওয়ার্কের অধীনে ৪০০০ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে সামগ্রিক সরবরাহকে ৩০০০ এমএমসিএফডিতে বাড়াবে।’
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে কাতার ও ওমান থেকে গ্যাস আমদানির পাশাপাশি সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ১২টি এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্রাহকদের প্রকৃত খরচ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি কার্গো আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।
‘আমরা আশা করি এই আমদানি একটি বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতিতে একটি ভাল প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এটি একটি খুব ভাল খবর যে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম কমছে।
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে গত বছরের জুলাইয়ে আমদানি স্থগিত করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু করে সরকার।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, এলএনজি আমদানি বাড়াতে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বর্তমানে, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে এই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতার এবং ওমানের সঙ্গে মোট ৫৬টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হবে।
তবে কী দামে কতটুকু গ্যাস আমদানি করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
জেনেন্দ্র নাথ বলেন, সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ৪৬টি কূপ খনন করার, যখন দেশের গ্যাসের চাহিদা ৫৬০০ এমএমসিএফডি-তে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা ও নারায়ণগঞ্জে ৯ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতি ৫% এর মধ্যে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের
সরকার বর্তমান ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাজেট ঘাটতিকে জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে ফিরিয়ে আনবে।
একটি সরকারি বাজেট নথি অনুসারে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে সংশোধিত ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে বর্তমান ঘাটতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল: ১৫ অর্থবছর থেকে ১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ঘাটতি গড় জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।
নথি অনুযায়ী, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা হবে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৫৬ লাখ ৬ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
নথিতে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকার অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করবে।
চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
নথি অনুযায়ী, বহিরাগত অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৯ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
বাহ্যিক অর্থায়ন চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশ আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে।
নথি অনুসারে, বাহ্যিক অর্থায়ন চলমান অর্থবছরে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রাখবে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ব আরেকটি ধাক্কা খায়।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি সম্ভাব্য বিশাল বৈশ্বিক সরবরাহ-সাইড শক প্রবৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে ধাক্কা দিতে পারে, যা কোভিড-১৯-পরবর্তী পুনরুদ্ধারকে প্রভাবিত করবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
নথিতে বলা হয়েছে যে রাশিয়া বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ শক্তি সরবরাহ করে, যার মধ্যে ১৭ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ১২ শতাংশ তেল রয়েছে।
তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি শিল্পের খরচ বাড়াবে এবং ভোক্তাদের প্রকৃত আয় হ্রাস করবে।
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে স্পষ্ট।
দেশে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ২১ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বাণিজ্য অংশীদারদের মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ২২ অর্থবছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতির অনুমান সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২৩ অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২২ মার্চ ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে উন্নীত হচ্ছে, যা আগের বছর ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
২ বছর আগে
গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ২১ হাজার ৫২১ মিলিয়ন ডলার: মন্ত্রী
দেশে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনশীল অবস্থায় আছে বলে বৃহস্পতিবার সংসদে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবাদুল করিমের প্রশ্নোত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে পণ্য রপ্তানি করেছে।
পড়ুন: চাল-গমের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
এর মধ্যে ৯১টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ও ১১২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আছে।
ওই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে ৬০ হাজার ৯৭১ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৮২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫২৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ঢাকার আওয়মী লীগ সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৯৮৬ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পড়ুন: তেলের দাম বাড়ার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
একইভাবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১৯ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় আজ থেকে চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৯৩০ পণ্য (৯৮ ভাগ) শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
ফলে চীনে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৮.৭০ বিলিয়ন ডলার বিওপি ঘাটতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বা ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বিওপি) ঘাটতি হয়েছে।
আগের অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বেশি বিওপি ঘাটতি দেখা যায়নি।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আমদানি বাড়ায় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর অবনতি হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এই ঘাটতি সামষ্টিক অর্থনীতির উদ্বেগজনক অবস্থার বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমদানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক লেনদেনে এই বিশাল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটা সত্য যে আমদানি বাড়ার একটা ইতিবাচক দিক আছে। দেশে বিনিয়োগ বাড়ে; কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। অর্থনীতিতে গতি আসে।’
মনসুর জানান, কিন্তু প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের ভারসাম্য পরিশোধের ঘাটতি সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীলতা বা সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এই আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এই ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে সংকট বাড়ছে।’
এ অবস্থায় আমদানি কমাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন মনসুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, বিদায়ী ২২ অর্থবছর শুরুই হয়েছিল ঘাটতি নিয়ে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রথম তিন মাসে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এভাবে প্রতি মাসেই আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে ভারসাম্য ঘাটতি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে