দেশের পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন প্রযুক্তি কতটা জরুরি ও কার্যকর একটি বিষয়। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই এবার আমরা (স্বাস্থ্যখাত) পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এটি করার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদিত হলেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার মহাখালীস্থ জাতীয় বক্ষ্মব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার কন্যা দেশের গোটা স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তার কারণেই। দেশের মাত্র ছয় হাজার চিকিৎসা বেডকে এখন ৬০ হাজার বেডে পরিণত করেছেন। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামের মানুষের দোড় গোড়ায়। সেখানে সাধারণ মানুষ এখন ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে গোটা চিকিৎসা সেবা ডিজিটালাইজড করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার চিত্রই পাল্টে যাবে।
যক্ষ্মার চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মায় আগে দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ মারা যেত। এখন সেটি কমে ৩০ হাজারে নেমেছে। তবে এই হার শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সব রকম কার্যক্রম হাতে নিতে হবে এবং আরও পরিশ্রম করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এখন জনবলের ঘাটতি পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। তাহলে চিকিৎসা সেবায় আর বাংলাদেশ পেছনে পড়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী