পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।