বুধবার এক বিবৃতিতে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম সবাইকে ‘সতর্ক’ করে দিয়ে ‘অনুরোধ’ করে বলেন, পূর্বানুমতি ব্যতীত কেউ এরূপ কার্যকলাপে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে লক্ষ করা যাচ্ছে ঢাকা মহানগর এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতের কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। তাদের কর্মসূচি পালন করতে রাস্তায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় যান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।’
‘বিদ্যমান আইনে বৈধ কোনো দল বা গোষ্ঠীর সমাবেশের স্বাধীনতা থাকলেও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বিধি নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমাবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের নাগরিক সুবিধা অক্ষুন্ন রাখা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে এ ধরনের কর্মসূচি পালন এবং শব্দযন্ত্র ব্যবহারের জন্য ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুসারে কমিশনার ডিএমপির পূর্বানুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এর ব্যতিক্রম হলে একদিকে যেমন মিছিল বা সমাবেশকারী ব্যক্তিদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না, অপরদিকে কোনো কোনো দল বা গোষ্ঠী বেআইনি সমাবেশ আয়োজন করে জানমালের ক্ষতি সাধনসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার সুযোগ পায়।’
সবশেষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মহানগরীতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে ডিএমপি।