তারা ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফর এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দেয়ায় সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আন্তরিক প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের উচিত ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারা এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বলেন যে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রদূতরা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশ উদারভাবে তাদের গ্রহণ করেছে।
সফরকালে উভয় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শরণার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মানবিক সহায়তাকারী সংস্থার সাথে মতবিনিময় করেন।
রোহিঙ্গারা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে নিরাপদ, টেকসই, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের আশায় রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ভারওয়েজ বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য জবাবদিহি এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার দিকে মনোনিবেশ করব। স্বল্প মেয়াদে প্রত্যাবাসন অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, এ কারণেই মধ্য মেয়াদি সমাধানে বিকল্পগুলোর বিষয়ে মতামত বিনিময় করা জরুরি।’
রাষ্ট্রদূতরা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতরা কক্সবাজারের শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা নির্বাহ, পরিষেবা গ্রহণ এবং মানবিক সহায়তার মতো চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও রাষ্ট্রদূতরা উদ্বাস্তুদের বসবাসের জায়গা হিসেবে ভাসানচরের সুরক্ষা, সম্ভাব্যতা এবং স্থানীয়ত্ব বিষয়ে জাতিসংঘের মূল্যায়নের জরুরি প্রয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সাথে বৈঠকে রাষ্ট্রদূতরা জেলার টেকসই উন্নয়নে সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডের সহযোগিতার কথা জানান।
সফরকালে রাষ্ট্রদূতরা জেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় উভয় সম্প্রদায়ের সামাজিক সংহতি এবং জীবিকার সুযোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূতরা নারী ও শিশুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত লিনডি বলেন, ‘লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, বিশেষ করে শিবিরগুলোতে নারী, শিশু এবং সবচেয়ে দুর্বল শরণার্থীদের নিরাপদ বোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনস্তাত্ত্বিক সমর্থন সম্পর্কে সংবেদনশীল হওয়া অবশ্যই টেকসই প্রতিক্রিয়ার অংশ হতে হবে।’
নেদারল্যান্ড এবং সুইডেন বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি উভয় সম্প্রদায়ের মানবিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে রয়েছে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান