রবিবার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/সিটি করপোরেশনের সাথে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কোন সময় কি কাজ করবেন, কখন করবেন এবং কীভাবে করবেন তার একটি নির্দিষ্ট টাইমলাইন অথবা ওয়ার্ক প্ল্যান করতে হবে। এতে যে কোনো প্রজেক্ট বা কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা সহজ হবে।’
এগুলো শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে করলেই হবে না, এটি সব সময় পর্যালোচনা করে কাজের অগ্রগতি যাচাই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে যে কোনো প্রকল্প নিলেই ৮-১০ বছরেও শেষ হয় না। প্রকল্পের একটা কাগজের প্রসেসিং করতে ছয় মাস সময় লাগে। প্রকল্পের পরিকল্পনা করতে যদি বছরের পর বছর চলে যায় তাহলে জাতি তার সুফল পাবে কবে?, প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রকল্পের কাজের মানের প্রসঙ্গ তুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে নেয়া কোনো প্রকল্পে যদি নিম্নমানের কাজ হয়, দুর্নীতি হয় এবং মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তাহলে সেই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলী, ঠিকাদার থেকে শুরু করে যারাই যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গুণগত মানসম্পন্ন কাজ করতে গিয়ে কেউ যদি বাধার সম্মুখীন হতে হয় বা কোনো প্রভাবশালী কাজ ব্যাহত করে তাহলে তা মোকাবিলার দায়িত্ব তার মন্ত্রণালয় নেবে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে কারো সাথে সমঝোতা না করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মন্দ কাজের জন্য যেমন শাস্তি পেতে হবে তেমনি যারা ভালো কাজ করবেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হলে কাজের আগ্রহ বাড়বে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মূল্যায়নে ঢাকা ওয়াসা প্রথম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দ্বিতীয় এবং সিলেট সিটি করপোরেশন তৃতীয় স্থান অর্জন করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দপ্তর/সংস্থা/সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।