মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ের ক্লিনিকে টিকা গ্রহণ শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টিকাদান ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
শিক্ষকদের টিকা দেয়া কবে নাগাদ শুরু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের টিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আমরা যে কোনো সময়, আজ থেকে সাত দিনের মধ্যে টিকা নেয়া শেষ করব। আমি নিজেও নিয়েছি, আমাদের সচিবালয়ের সবাই নিয়েছেন।’
টিকা গ্রহণকারীদের কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল যারা নিয়েছেন, আমার এলাকায়ও যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমার শিক্ষকদের, আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায়া যারা আছেন, ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা পড়বেন তাদের টিকা নেয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন: ৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
শিক্ষকদের যথাসময়ে টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক আগেই এ দেশে টিকা নিয়ে আসার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের শিক্ষার প্রতি এতোই আন্তরিক যে গতকাল এবং এর আগেও আমাকে ফোন করে বলেছেন, তোমার সকল শিক্ষককে তুমি টিকা দিয়ে নাও, যেহেতু আমরা যে কোনো সময় স্কুল খুলে দেব। যাতে আমার কোনো শিক্ষক টিকার আওতার বাইরে না থাকেন।’
টিকা নেয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হলো। আমার কাছে আরামদায়কই মনে হয়েছে।’
টিকাদানের সার্বিক চিত্র
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রবিবার সকালে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো, রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাদান শুরু হওয়ার গত দুই দিনে ৭৭ হাজার ৬৬৯ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৭০০ জন পুরুষ এবং ১৭ হাজার ৯৬৯ জন নারী টিকা গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: টিকা নিলেন জাফরুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীকেও নেয়ার আহ্বান
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ হাতে পেয়েছে।
ভারতের উপহার হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো, রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিকা নিলে ভয় নেই, বরং না নিলেই ভয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী