মহানগরীর আরডিএ ভবনের সামনে থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন, নাজমুল হোসাইন ও আদালত পরিদর্শক আমির হোসাইন এ অভিযান চালান।
দুদক জানায়, গত ২ অক্টোবর আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদারসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে দুদক। মামলায় আরডিএ’র চেয়ারম্যান ও হিসাবরক্ষক ছাড়াও আরও দুজন কর্মকর্তা ও ছয়জন প্লট গ্রহীতাকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ- ২০০৫ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে আরডিএ’র চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ২৩ কাঠার ৮টি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ করা হয়। যাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেন আরডিএ’র তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা। অভিযোগ ওঠার পর থেকে দুদক দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে মামলাটি দায়ের করে।
এ ব্যাপারে উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন। তবে সোমবার হিসাবরক্ষক গোপনে অফিসে এসেছেন এমন খবরে আরডিএ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় দুদক কর্মকর্তারা। অফিস শেষ করে বের হলে তাকে ভবনের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার রুস্তম আলীকে নগরীর রাজপাড়া থানায় রাখা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।