আদালতের তলবে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে স্বশরীরে হাজির হয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান এই আইনজীবী।
এসময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তার স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতের কাছে স্বামীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেই সাথে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষমা চান সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
দুই আইনজীবী নেতা সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, এরপর কখনো আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব এধরনের কাজ করবেন না, করলে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া আইনজীবী মামুন মাহবুব নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাকে এবারের মত ক্ষমা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও অনেকে। আদালত সবার কথা শুনে এবিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ওই আইনজীবী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উচ্চ আদালতে মাত্র ১৮টি বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকার্যক্রম চালু রাখার ব্যাপারে এবং আদালতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করেন।
ওই পোস্টে প্রধান বিচারপতি নিয়মিত আদালত চালু নিয়ে ‘মকারি’(উপহাস) করেছেন বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত ১২ আগস্ট আদালতের নজরে আনেন।
আদালত বক্তব্য শুনে আইনজীবী মামুন মাহবুবকে ২০ আগস্ট স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই মন্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না এবং আপিল বিভাগে তার আইনজীবীর তালিকাভূক্তি বা সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ১৯ আগস্টের মধ্যে তাকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।