লন্ডনের স্থানীয় সময় শুক্রবার মুজিব বর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন জানায়, সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম মুজিববর্ষ উদযাপন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী প্রায় ৩০টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন। এর মধ্যে আগামী ২২ মার্চ আয়োজন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী শিশু-কিশোর উৎসব। আয়োজন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
বছরব্যাপী জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ তুলে ধরা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন। এসব ঐতিহাসিক ঘটনার বিভিন্ন দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে হাইকমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে লন্ডনের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় সকালে হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার টেলিভিশনে উপভোগ করেন।
ক্ষণগণনা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে মুজিববর্ষের লোগো সংযুক্ত করে।