আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে সার্কিট হাউসে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে রাজি হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তখন রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালু এবং শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান।
এসব বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিফাত বলেন, তারা বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে রবিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং নতুন উপাচার্য দেয়া হবে। তারা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে পারেননি।
তাই সবার সিদ্ধান্ত হলো, উপাচার্য ইমামুল হকের পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, বলেন সিফাত।
তিনি জানান, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন নিজেদের না জানানোর কারণে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।