প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বহুমুখী পল্লী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করবে।
বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি উদ্যোগের উদ্বোধনের পাশাপাশি তিন দিনব্যাপী প্রথম জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ এ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বহুমুখী পল্লী সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছি, যা প্রাথমিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রহণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা এবং ভূমি সেবার ডিজিটাইজেশনের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে ২৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলমান এই সম্মেলনে।
সম্মেলনের অন্যান্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে নাগরিক, সরকারি সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং ভূমি সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন ও প্রবিধান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী যে সাত উদ্যোগের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স।
অবশিষ্ট ছয় উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড সার্ভিস সেন্টার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিত সমবায় ব্যবস্থার আওতায় ফসলের একটি অংশ জমির মালিকদের কাছে, এক অংশ নিয়োজিত শ্রমিকদের কাছে এবং এক অংশ সরকারের কাছে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার জমি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এর অংশটি ব্যবহার করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমবায় মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এটাই চাই।’
আরও পড়ুন: রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর