বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, পর্যটন খাত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জনগণকে কাছাকাছি আনার জন্য একটি সেতু হিসেবে কাজ করছে এবং প্রতিটি জাতির অফার করা অনন্য সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য আমাদেরকে অনুভব করার সুযোগ করে দিচ্ছে।’
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) নেটওয়ার্কিং ডিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশে রোডশো’র কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ২০২২ সালে এক কোটিরও বেশি পর্যটক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে।
তিনি বলেন, ‘এতে বোঝা যায় যে মালয়েশিয়া ২৬ মিলিয়ন পর্যটকের আগমন ফিরিয়ে আনার পথে রয়েছে। ২০২২ সালে ১০ মিলিয়ন পর্যটকের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
হাইকমিশনার বলেন, অনন্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলাতে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় স্থান এবং সেবা পণ্যগুলিকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আরও বেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চিকিৎসা, শিক্ষামূলক ও ইকোট্যুরিজমকেও প্রচার করতে সচেষ্ট।
তিনি বলেন, ট্যুরিজম মালয়েশিয়া রোডশো আমাদের অংশীদারিত্বের অপার সম্ভাবনা এবং সামনের সুযোগগুলো প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং রন্ধনসম্পর্কীয় মিল রয়েছে, যে কারণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
তিনি বলেন, ‘এবং মালয়েশিয়ায় হালাল খাবার পাওয়া কখনই কোনো সমস্যা না। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদেরকে মালয়েশিয়ায় আরও ছুটির প্যাকেজ বিকাশ ও বিক্রি করতে উৎসাহিত করছি, যাতে বিশেষ পণ্য যেমন মেডিকেল ট্যুরিজম, বিলাসবহুল ভ্রমণ, শিক্ষা পর্যটন এবং স্পা এর ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী