সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনসহ দেশটির একাধিক কর্মকর্তার সাথে আবদুল মোমেন বৈঠকে অংশ নেবেন।
সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি আজ (সোমবার রাতে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবো। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ২৪ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশ সময়) দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক হবে।’
আরও পড়ুন: নতুন মার্কিন প্রশাসনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জনকূটনীতি প্রচারে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, এখানে সুনির্দিষ্ট কোন সমস্যা নেই তবে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন আসায় তাদের সাথে সম্পর্কের সকল বিষয়েই আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অনেক দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’
রোহিঙ্গা সংকট
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অবস্থান, মানবিক ও কূটনৈতিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সংকট সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় বাইডেন প্রশাসন আরও সক্রিয়ভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর সহযোগিতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, নতুন মার্কিন বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি লাভজনক গন্তব্য হতে পারে।
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: রাষ্ট্রদূত মিলার
মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত মিলার
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
মিয়ানমারের গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ফোকাস করায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও সোচ্চার হবে।
ড. মোমেন জলবায়ু, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করছেন।
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত
ড. মোমেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে এক দশক ধরে বিচারাধীন রয়েছে।
ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়ার কাজ দ্রুত করতে মার্কিন সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ড. মোমেন বলেন, বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের অংশীদারিত্ব চেতনার আলোকে আমি বিশ্বাস করি যে নতুন মার্কিন প্রশাসনের এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।’
‘আসলে এটি বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্বের একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে,’ বলেন তিনি।