রবিবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলে অভিমত দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
সোমবার পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্য দেখেছে যে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সংঘটিত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বলেছে, রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
যুক্তরাজ্য সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর নির্ভর করে।
এতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করা হয়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বলেছে, ‘একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করলে দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।’