বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অত্যাধুনিক ও টেকসই পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে এপিএম টার্মিনাল নামে একটি বৈশ্বিক বন্দর ও টার্মিনাল অপারেটর।
ঢাকায় ডেনিশ দূতাবাসের মতে, কোম্পানিটি বিশেষ করে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। কেননা এর অনেক সীমাবদ্ধতা দূর করার সম্ভাবনা রয়েছে যা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এটি সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও বিনিয়োগের সূচনা করবে এবং বাংলাদেশি আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজার উন্মুক্ত করবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁনের সৌজন্য সাক্ষাত
দেশের সামুদ্রিক অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা আরও গভীর করতে এপিএম টার্মিনালের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি অংশীজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনের সঙ্গে কোম্পানির প্রতিনিধিরা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফজাল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য জলবায়ু-বান্ধব জ্ঞান ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে। ‘এটি বাংলাদেশের সবুজ অর্থনৈতিক উত্তরণকে ত্বরান্বিত এবং পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপের সুবিধার মাধ্যমে বিশেষ করে ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার একটি কার্যকর উপায়।’
আরও পড়ুন: চীন শুধু ‘অর্থের ঝুড়ি’ নয় ‘সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবও দেয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পতেঙ্গায় ভবিষ্যৎ অবকাঠামো প্রকল্পের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এপিএম টার্মিনালের গ্লোবাল হেড অব কর্পোরেট ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিজন ভ্যান ডঙ্গেন বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ধারণক্ষমতার শতভাগের বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে এটি দেশের প্রবৃদ্ধির যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয় এমন টেকসই সমাধান নয়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বাংলাদেশি সহযোগীদের সঙ্গে পতেঙ্গায় একটি নতুন টার্মিনাল তৈরি করার মাধ্যমে আমরা ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবসহ একটি কার্যকর ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সমাধান প্রদান করতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা লিবিয়ার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সের