মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রাশাদ হোসাইন ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রবিবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে তারা এ বৈঠক করেন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে হোসাইন নামাজ আদায় করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রাশাদ হোসাইন ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে এলে সংগঠনের নেতারা তাঁদের আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানান।
প্রায় পৌনে এক ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশাদ হোসাইন বাংলাদেশের বিদ্যমান ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক পরিস্থিতি সম্পর্কে ঐক্য পরিষদ নেতাদের কাছে জানতে চান।
ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত তাঁকে জানান, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদী তৎপরতা বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অস্তিত্বের সংকটে নিক্ষেপ করেছে। ভবিষ্যতের নির্বাচনী পরিস্থিতি তাদের শঙ্কাগ্রস্ত করে তুলছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে বাংলাদেশের দাবিদাওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশাদ হোসাইন বলেন, আমি ও আমার পরিবার ভারতের বিহার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি এবং নাগরিকত্ব পেয়েছি। সেখানকার সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে সে দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করে বিধায় আমি আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত হয়ে এ জায়গায় আসতে পেরেছি। সংবিধানের একটি মৌল উদ্দেশ্য হল সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সমাজের মনোজাগতিক বিষয়ের পরিবর্তন কেবল সরকারের একার নয় আপনারাসহ সুশীল সমাজকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবহিত রয়েছে এবং পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। রাশাদ হোসাইন চীনে মুসলমান নিগ্রহ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন। এই অবস্থার অবসানে বিশ্বে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বিকাশে মার্কিন প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে মত বিনিময়ে অংশ নেন ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, দীপেন চ্যাটার্জী , অশোক বড়ুয়া, মনীন্দ্র কুমার নাথ, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ‘বিস্তৃত ও গতিশীল’: রাষ্ট্রদূত হাস