জানাজায় অংশ নিতে তার বাড়িতে এসে জড়ো হয় পুরো গ্রামের মানুষ, লাশ বহনের জন্য প্রস্তুত করা হয় খাটিয়া, দাফনের জন্য খোঁড়া হয় কবর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাফন ও জানাজা হলো না। কারণ, কফিন খুলে জানা যায় লাশটি অন্য মানুষের!
এ ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপীর গ্রামে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসী নিখোঁজ: ১৪ দিন পর লাশ উদ্ধার
দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে গ্রিস প্রবাসী আফসর মিয়া (৪০)। তিনি দীর্ঘদিন গ্রিসে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ভুল করে আফসর মিয়ার ঠিকানায় আরেক প্রবাসী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির জালাল মিয়ার লাশ পাঠানো হয়।
স্বজনেরা পরে দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই লাশ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর জালাল মিয়ার। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে জালাল মিয়ার লাশ ফেরত দেয়া হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর রাতে আফসর মিয়ার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এদিন সকাল ১০ টায় দামোধরতপী মসিজেদ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত ১০ মার্চ আফসর মিয়ার লাশ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখে আফসর মিয়ার স্বজনেরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লাশ নিতে।
কফিনের গায়ে আফসর মিয়ার নাম দেখে শুক্রবার রাতেই লাশ দামোধরতপী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে কফিন খুলে দেখেন লাশ অপরিচিত মানুষের।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, গ্রিসে মৃত্যুবরণকারী আফসর মিয়ার লাশ তার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ সমাহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক