বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তল এবং ছয় রাউন্ড গুলিসহ চরমপন্থী দলের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে ধান্যখোলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহতের ঘটনায় আটক ২
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে সীমান্ত এলাকা ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ আইয়ুব আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে আতিয়ার রহমানকে (৩০) আটক করে।
এরা উভয় বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলা এবং খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি 'শ্রেণিশত্রু খতমের' নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির জন্য কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তদন্তকালে তাদের অস্ত্র সরবরাহকারীদের তথ্য পাওয়া যায়।
এ সূত্র ধরে বুধবার ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মহিদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে মহিদুলের বাড়ি থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, চরমপন্থী সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দিপংকর ভারতে থাকেন।
তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার আন্ধা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করেন।
চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা এ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মানুষ হত্যা করেন।
এছাড়া আটক আতিয়ারের নামে মাদক ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপন কুমার সরকার তিনটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ দুই চরমপন্থি সদস্য আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে উগ্রবাদী হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে এক সিরীয় আটক