সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াতউদদৌলা খান ও পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
জেলা প্রশাসক প্রাথমিকভাবে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করলেও পরবর্তীতে আরও চারজনসহ মোট ১৬জন নিহতের তথ্য পাওয়া যায়।
হতাহতদের উদ্ধারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া ও কসবা থেকে ফার্য়ার সাভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
পাশাপাশি, ঘটনার তদন্তে বাংলাদেশ রেলওয়ে পক্ষ থেকে দুটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটিসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী পৃথক শোক বার্তায় নিহতদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং হতাহতের সর্বাত্মক সহযোহিতার আহ্বান জানিয়েছেন।