পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২-২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সাইডলাইন মিটিং সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নই। এগুলো নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের জানাব।’
শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
সাধারণত, প্রধানমন্ত্রী যেকোনো শীর্ষ সম্মেলন বা অধিবেশনের ফাঁকে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ব্রিকস দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং এরপরে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের পর এটিই হবে শারীরিক উপস্থিতিতে আয়োজিত প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।
প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সাম্প্রতিক সময়ে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে বেশ কিছু বৈঠক করেছেন।
শীর্ষ সম্মেলনে ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে দিতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই
আয়োজক দেশের তথ্যমতে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্মেলনে যোগ দেবেন না। রুশ ফেডারেশনের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
শীর্ষ সম্মেলনে আলোচিত মূল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বৈদেশিক নীতির বিষয়ে একটি বিবৃতি সময়মতো জারি করা হবে।
প্রেসিডেন্ট রামাফোসা জানান, শীর্ষ সম্মেলন সফল করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
এর আগে স্বাগতিকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের গৌতেং-এর স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রিকস বিজনেস ফোরাম চলাকালীন ব্যবসায়িকদের সঙ্গে যুক্ত হবেন ব্রিকস নেতারা।
শীর্ষ সম্মেলনের সময় নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন তারা।
১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে একটি ব্রিকস আউটরিচ ও ব্রিকস প্লাস সংলাপ করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ
দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ