গত ১১ মে থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ৫ জুলাই থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১১ হাজার ৫১৪টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে ৪ হাজার ৯১৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়া গত ৫ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ হাজার ৫৮৮টি মামলায় আত্মসমর্পণ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং মোট ২৩ হাজার ৩৯৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
গত ১১ মে থেকে গত ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৪০ কার্যদিবসে সারাদেশের শিশু আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এ অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। ওই অধ্যাদেশকে সরকার পরবর্তীতে আইনে পরিণত করেছে।
অধ্যাদেশ জারির পরদিন ১০ মে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়। ১১ মে থেকে শুরু হয় ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম। প্রথমে শুধুমাত্র সীমিত আকারে নির্দিষ্ট কিছু আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। পরবর্তীতে ৩০ মে’র পর আদালতের সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে।
এরপর থেকে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতসহ সারাদেশে আদালতগুলোতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছে।