তিনি বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে শনিবার পর্যন্ত ৫০ হাজারের অধিক মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কারাগারগুলোতে ওভার পপুলেশনের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে।
রবিবার মুন্সিগঞ্জে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আট তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এ প্রকল্প কিছুদিনের মধ্যে একনেক মিটিংয়ে উঠবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩১ লাখ মামলার জট থাকবে না। গত ১২ বছরে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সক্রিয় ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ৩১ লাখ মামলাজট নিরসন করা হবে। এ জট নিরসনের জন্য সরকার অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি আদালত সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিচারকের সংখ্যা বাড়াচ্ছে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি কর করা হচ্ছে। তাছাড়া সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। যে মামলাগুলোর বিচার না হলে আইনের শাসন ব্যাহত হতো সেগুলোর বিচার তার সরকারের মেয়াদে সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল একাডেমি স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আইনজীবীদের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। বিদেশে বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জাকারিয়া মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য দেন।