রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘ওই স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।’
বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত।
যেসকল শরণার্থী স্বেচ্ছায় ভাসানচরে স্থানান্তরিত হতে চাইবেন সেখানে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকার নিশ্চয়তা এবং উক্ত দ্বীপ থেকে মূল ভূখণ্ডে চলাচলের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে জাতিসংঘ।
‘এটি ভাসানচরে একটি কার্যক্ষম ও নিরাপদ জনপদের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে,’ বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সরকারের ভাসানচর প্রকল্পের ঘোষণার সময় থেকে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব রেখেছে এবং সরকারের সাথে নীতিগত, পদ্ধতিগত এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে।
তবে এখনও এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।