প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে মুক্তির জন্য বিজয় সংগ্রামের মতো অনেক অভিন্ন ইস্যু রয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষ স্লোগান দিত ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশংসা করেছিল।
কৃষি খাতের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং এখানে বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে, তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গবেষকদের নিয়োজিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদ সফলভাবে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার দেশের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ভিয়েতনাম সরকার ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে।
ভিয়েতনামের নেতার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।