হেফাজতের কয়েক হাজার সমর্থক যোহরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমবেত হন এবং ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ করেন। এ সময় পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর হেফাজতের আমির নূর হোসেন কাসেমী ভোলায় পুলিশের গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি ইসলাম ও নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
সেই সাথে তিনি ভোলায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
কাসেমী বলেন, সরকারকে অবশ্যই ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিন থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এছাড়া, হেফাজতের নেতা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন।
সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এক যুবকের শাস্তির দাবিকে কেন্দ্র করে রবিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও আন্দোলনরত স্থানীয়দের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু ও প্রায় ২০০ জন আহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সেখান থেকে আল্লাহ ও মহানবীকে কটূক্তি করে বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো মেসেজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রাপাত হয়।