শনিবার সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে নিজের ভোট প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে … তারা খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করছে এবং তাদের বাড়িতে মজুদ করছে … আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, খাদ্য সামগ্রীতে (মজুদে) আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু সরকারি গোডাউনগুলোতে ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন গমের মজুদও রয়েছে। এসব ছাড়াও ব্যক্তিগত রাইস মিলারদের কাছে এবং বড় বড় কৃষকদের কাছেও ব্যাপক পরিমাণে মজুদ রয়েছে।
‘কৃষকরা তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন… মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি উৎপাদিত হচ্ছে… আমাদের লবণেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সুতরাং আতঙ্কিত হবেন না… আপনাদের যা প্রয়োজন শুধু তাই সংগ্রহ করুন। আপনারা বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে দাম বেড়ে যেতে পারে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে তিনি অর্থমন্ত্রী, অর্থ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বৈঠক করেছেন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য খাদ্য ক্রয়ের সক্ষমতা রয়েছে আমাদের, তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।’
সরকার বাজার পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাই আতঙ্কে বাজার বা মজুদ পণ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করা কারও জন্য বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
সম্প্রতি বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য বিধি ও কঠোরভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দয়া করে, এখানে সেখানে যাবেন না... আপনারা অন্যের জীবনকে বিপদে ফেলবেন না।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মাঝেই শনিবার তিন সংসদীয় আসন ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪-এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন আসনে ভোটার রয়েছেন ১০ লাখের বেশি।
ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এ ভোট টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে।