প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে এ সভায় যুক্ত হন।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো চলতো দুটি নীতিমালার মাধ্যমে। এখন দেখা যাচ্ছে নীতিমালা দিয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য একটা আইন প্রয়োজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এ খসড়া আইন তৈরি করেছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া বিল অনুসারে একটি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সর্বনিম্ন ছাত্র হতে হবে ৫০ জন। প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপাত হবে ১:১০। ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। ২৫ ভাগের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না।’
কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, বলেন তিনি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কলেজের কমপক্ষে তিন একর নিষ্কণ্টক জমি থাকতে হবে এবং মহানগর অঞ্চলে ন্যূনতম দুই একর জমি থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে প্রায় ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ২৬টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। দেশে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি সরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে।
এ ছাড়া জাতীয় সেবা কর্মসূচির ৮ম পর্যায়ের উন্নয়ন প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।