জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সাথে বুধবার সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি সাড়ে ৭ কোটি এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১ কোটি টাকা করে পেয়েছে।
অন্যান্য সিটি করপোরেশনের প্রত্যেককে ৫০ লাখ এবং সব পৌরসভা ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, কলকাতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে সমন্বিত প্রচেষ্টায় মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রত্যেকে বাড়ি, অফিস ও নিজ আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এবং সচেতন থাকলে মশা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ডেঙ্গু জীবাণুর বাহক এডিস মশার জন্মস্থান সম্পর্কে দেশে সচেতনতা ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, সবার মাঝে জনসচেতনা সৃষ্টিতে কলকাতা অনেক সফলতা অর্জন করেছে। তারা সব মানুষকে সতর্ক করতে পেরেছে। সে জন্য সেখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম। ‘আমি যখন গিয়েছিলাম তখন তাদের ৭০০ রোগী ছিল, আর আমাদের রোগী ছিল ৫ হাজার। তারা বলেছে, তাদের ৯০ ভাগ লোক সচেতন থাকায় এ সমস্যা থেকে তারা পরিত্রাণ পেয়েছেন।’
কলকাতার মতো বাংলাদেশেও জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকার কাজ করছে বলে জানান এলজিআরডি মন্ত্রী।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় কলকাতার অভিজ্ঞতা ও নতুন শিক্ষা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১২ মাসই কাজ করতে হবে। কলকাতায় ওয়ার্ড প্রতি ২৫ জন নিয়োগ দিয়েছে, আমরাও সেটি করেছি।’
মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনকে ১৬ শ লোক নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং দক্ষিণ সিটি যদি তাদের চাহিদা দেয় তাহলে সেখানেও লোক নিয়োগ দেয়া হবে।
মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা চলছে এবং এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি করে দেয়া হয়েছে বলে জানান এলজিআরডি মন্ত্রী।
তিনি জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে তারা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নিয়ে এপ্রিলে সমন্বয় সভা করেছিলেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার এডিস মশা দ্বিগুণ হওয়ায় নতুন শিক্ষা পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিসিজেএফ সভাপতি কাউসার রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।