মাগুরার শালিখার আড়পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে ১২০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গুদাম কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় আড়পাড়া খাদ্য গুদাম শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযুক্তের নাম-মো. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভিজিডি চাল আত্মসাৎ: বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সনোতোষ কুমার মজুমদার জানান, আগের গোডাউন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ৮ ডিসেম্বর অন্যত্র বদলী করা হয় এবং মাগুরা সদর গুদাম কর্মকর্তা নূরে আলমকে আড়পাড়া খাদ্য গুদামের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর নূরে আলমকে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সময় গোডাউনের মালামালের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। এরপর শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সালমা চৌধুরী লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী বলেন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার এর নির্দেশে বাদী হয়ে শফিকুল ইসলামের নামে থানায় মামলা দায়ের করি।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালকের নির্দেশে মামলার এজাহারে দস্তখাত করেন।
গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুলি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী, দারোয়ান সুভাষ চন্দ্র সরকার ও লেভার বিপুলের যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটেছে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম জানান, গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো এবং সেই সঙ্গে দুদকের মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
এছাড়া শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুলকে গ্রেপ্তারের পর চারটি গোডাউনে সীলগালা করে দেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ: মাগুরায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত